Archive | Meiosis cell Division RSS for this section

৮ম পর্ব- ডিএনএ কী?- কোষ বিভাজন মিয়োসিস এই বিশ্বে কখনই একজন মানুষ হুবহু আর একজনের মত হওয়া সম্ভব নয়। (হোমোজাইগোট টুইন বাদে)

৮ম পর্ব- কোষ বিভাজন MEIOSIS-এই বিশ্বে কখনই একজন মানুষ হুবহু আর একজনের মত হওয়া সম্ভব নয়।(Homozygote Twin বাদে)

প্রজনন কোষগুলী অর্থাৎ SPERMATOZOA অন্ডকোসে  ও OVUM ডিম্বালয়ে (OVARY), MEIOSIS পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়। বিভাজন হওয়ার পূর্বে এদের মধ্যে থাকে ২৩ জোড়া বা ৪৬ টা (DIPLOID)ক্রোমোজোম এবং বিভাজিত হওয়ার পর এদের মধ্যে থাকে ২৩ টা ক্রোমোজোম (HAPLOID)।অর্থাৎ সোজা কথায় বিভাজনের পর প্রতিটা প্রজনন কোষ অর্দ্ধেক CHROMOSOME এর অধিকারী হয়ে যায়।

এরপর SEX এর মাধ্যমে এই HAPLOID SPERM, UTERUS এর FALLOPIAN TUBE এ HAPLOID OVUM কে FERTILIZE করে একটি DIPLOID এক কোষী ZYGOTE তৈরী করে।এই এক কোষী ZYGOTTE থেকেই আমাদের জীবনের সূচনা। আর এই এক কোষী ZYGOTE টিই MITOTIC পদ্ধতিতে বিভাজিত ও বৃদ্ধি হতে হতে আমাদের মত একজন পূর্ণ মানবে পরিণত হয়।

এবার কোষের MEIOSIS পদ্ধতি এর মধ্যে আপনাদেরকে লয়ে গিয়ে আরো অধিক এক অদ্ভুৎ কোষ কারখানার মধ্যে লয়ে যাব। যার জটিল কান্ড কারখানা দেখে আপনারা অবাক না হয়েই পারিবেননা।

মুলতঃ এই জটিল পদ্ধতির মধ্য দিয়েই আমাদের এই বিশাল জীবনের শুধু মাত্র বীজ ই অঙ্কুরিত হয়না বরং এর মধ্য দিয়ে আমাদের ভাগ্য ও নিদ্ধারিত হয়ে যায়।
কাজেই কার্ না আগ্রহ থাকে নিজে কী ভাবে এই বিশ্বজগৎ দেখতে পেলাম তা একটু জানতে? তবে আমরা কেহই মোটেই একেবারে মসৃন পথ দিয়ে এই ভূবনের রঙ্গমঞ্চে এসে পৌছাতে পারি নাই।পথে অসংখ্য বিপদ আপদ  পেরিয়ে তারপরে এখানে পৌছাতে হয়েছে।
তাহলে এবার আসুন আমরা কোষের MEIOSIS এর কারখানায় ঢুকে পড়ি।

তবে কারখানায় ঢুকবার পূর্বে আপনাকে CHROMOSOME এর কিছুটা সাধারন ধারনা লইতে হইবে।
কারণ CHROMOSOME টাই এই কারখানার প্রধান আলোচ্য বিষয় বস্তু।

প্রানী জগতের উপর MEIOSIS এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য কেন এত বেশী?

MEIOSIS বিভাজনের মাধ্যমে CHROMOSOME এর গুনাগুন শুধু মাত্র অঙ্কুরিত ব্যক্তিটা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং এটা বংশানুক্রমিক ভাবে ও বংশধরদের মধ্য দিয়ে ও গড়াতে থাকে। MEIOSIS এর কারখানার মধ্যেই সিদ্ধান্ত এসে যায় পিতৃ-মাতৃ প্রজনন কোষ হতে উৎপন্ন ব্যক্তিটির গুনাগুন কিরুপ হইবে। এই কারখানার মধ্য দিয়েই বাছাই হতে থাকে ৭০ ট্রিলিয়ন ধরনের বিভিন্ন গুনাবলী সম্বলিত GENETIC MATERIALS এর কোন্ গুনাবলী সম্বলীত GENETIC MATERIALS এর CHROMSOME টি উৎপন্ন ব্যক্তিটির ভাগে পড়তে চলেছে।

হ্যাঁ এটা বড় মারাত্মক ব্যাপার ই বটে।

এই কারখানার মধ্য দিয়েই নিরুপিত হয়ে যায় উৎপন্ন ব্যক্তিটি একজন আইনষ্টাইন আসতেছে নাকি একটা উন্মাদ  বা মানব সভ্যতা ধংশকারী বা DOWNS SYNDROME এর রোগী আসতেছে। এই কারখানার মধ্য দিয়ে শুধু যে প্রানী সৃষ্টি হয় তাই ই নয় বরং এর মধ্য দিয়েই জীব জগতের বৈশিষ্টের বৈচিত্রতা প্রকাশিত হয় ও এর মধ্য দিয়েই DNA এর GENETIC MATERIALS এর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অতি ধীরে ধীরে প্রানী জগতের বংশ ধারার মধ্যে বিবর্তন ধারাও চলতে থাকে।(২)ভিডিও-১

অদ্ভুত ব্যাপার হল এই কারখানার সমগ্র ফলাফল আমাদেরই ভোগ্য বস্তু অথচ সবই আমাদের হস্তক্ষেপ বা নিয়ন্ত্রনের বা জ্ঞ্যানের একেবারেই বাইরে, এটা যেন আমাদের  দৃষ্টির সম্পূর্ণ বাইরে এক অদৃশ্য জগতের বিশাল কারখানা।আমরা যেন সেই কারখানা থেকে কোন এক অদৃশ্য হস্তের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটা কলের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নই।

আর এই পুতুলের মধ্যের নিয়ন্ত্রক যন্ত্রটি DNA।

আর এই পুতুল টি কতক্ষন ঘুরা ফিরা করবে? সোজা উত্তর, যতক্ষন ব্যাটারীর শক্তি বিদ্যমান থাকবে। তাহলে DNA এর এই ব্যাটারী টা কী? হ্যা DNA মেসিন টি অবশ্যই ব্যাটারী ছেট করা রয়েছে। চর্চের ব্যাটারী ফুরিয়ে আসতে থাকলে ঠিক আলোর তীব্রতা যেমন কমতে কমতে নিশেষ হয়ে যেতে থাকে, DNA এর ব্যাটারী TELOMERE নামক পদার্থ টি কমতে থাকলেও DNA এর চার্জ ও ফুরিয়ে যেতে থাকে এবং একই সংগে  আমাদেরও আয়ু ঘড়ির কাটার মত কমতে থাকে। এবং তখন আমরাও ক্রমান্বয়ে বার্ধক্যের দিকে এগুতে এগুতে এক সময় আমাদের কোষগুলীরও স্বাভাবিক মৃত্যু হতে হতে আমাদের ও স্বাভাবিক মৃত্যু অবধারিত হয়ে যায়।(TELOMERE কী?৫ম পর্ব দেখুন)

ধরুন আর ১০- ২০ বৎসর পরেই,বিজ্ঞানীগন আবিস্কার করে ফেল্ল এই DNA মেসিন কে রিচার্জ করার পদ্ধতি। অর্থাৎ TELOMERE কে নিয়ন্ত্রিত করে এর আয়ু বর্ধিত করার পদ্ধতি, তখন ব্যস, কী আনন্দ!! আমরাও তখন একটা অতি দীর্ঘ যৌবন- জীবনের অধিকারী হয়ে যাব। (পর্ব-৫দেখুন )।

আমরা নিতান্ত অসহায়!

আমরা সত্যিই নিতান্ত অসহায়। আছে কী আমাদের হাতে কোন ক্ষমতা, বা রক্ষা পাওয়ার যদি যৌন কোষ এর MEIOTIC বিভাজনের সময়ে GENETIC EXGHANGE এর সময় একটা CANCER GENE, DOWN’S SYNDOME এর গরমিল DNA অথবা THALASSAEMIA এর মত বা আরো হাজার রকমের মারাত্মক ক্ষতিকারক কোন GENETIC গরমিল বা ত্রুটি বিচ্যুতি আমাদের কারো ভাগে পড়ে যায়?

না, আমাদের কিছুই করার নাই।

হ্যা, একটা ব্যক্তির হাজার হাজার রকমের GENETIC বৈকল্যগত ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় এই MEIOSIS বিভাজনে GENETIC MATERIALS এর মিশ্রনের সময় কোন রকমের বৈকল্য বা বিচ্যুতি ঘটে যাওয়ার উপর। এ সম্পর্কে এই পর্বের শেষে কিছুটা আলোচনা করা হয়েছে।

সেই অদ্ভুৎ কারখানায় আমাদের কোনই নিয়ন্ত্রন নাই। সেখানে আমরা নিতান্তই অসহায় ও নিরুপায়।

হ্যাঁ, কী করে এই অদ্ভুৎ কারখানার মধ্য দিয়ে এই আমরাই আসতেছি তা এই MEIOSIS চ্যাপটারটা ভাল ভাবে পড়লেই বুঝতে পারবেন।
তার আগে একটু জেনে নেওয়া ভাল কারা DNA সম্পর্কে নিয়মিত ভাবে অনবরত গবেষনা চালিয়ে এ সম্পর্কে নূতন নূতন তথ্য আবিস্কার করে করে বিশ্ববাসীকে জ্ঞ্যানের আলোকে আলোকিত করতেছেন। তাদের কাছে একটু খানি হলেও তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিৎ।
এরা হল-

হিউম্যান জেনম প্রোজেক্ট
(Human Genome Project)

কী এই হিউম্যান জেনম প্রোজেক্ট?

“হিউম্যান জেনোম প্রোজেক্ট” হল একটি আন্তর্জাতিক গবেষনা কার্যক্রম সংস্থা যাদের গবেষনার লক্ষ্য হল মানুষের সমস্ত GENE এবং GENE SEQUENCE কে চিহ্নিত করা। এই প্রোজেক্টটি সমন্বয় করেছিল The U.S. National Institutes of Health and the U.S. Department of Energy’ এরপরে আরো অবদান রাখে আমেরিকার অনেক ইউনিভার্সিটি, ইউকে, ফ্রান্স,জার্মানী, জাপান এবং চীন। “হিউম্যান জেনোম প্রজেক্ট” কার্যতঃ আরম্ভ হয়েছিল ১৯৯০ সালে এবং এর কাজ সম্পূর্ণ করেছিল নির্ধারিত সময় সূচীর দুই বৎসর পূর্বেই ২০০৩ সালে।
এই সকল গবেষকগন DNA এর মধ্যে মনুষ্য জাতির লুক্কায়িত থাকা ব্লুপ্লিন্ট ( মডেল বা খসড়া) ধরে ফেলতে সক্ষম হন। এবং এর দ্বারা অর্জিত হয় অনেক চিকিৎসা ও সামাজিক সুবিধা সহ অন্যান্য আইন গত সুবিধাও।(৬)

MEIOSIS বুঝতে গেলে CHROMOSOME সম্পর্কে সামান্যতম হলেও আপাততঃ একটু ধারনা থাকার দরকার আছে। পরে বিস্তারিত বলা হবে।
তাই CHROMOSOME সম্পর্কে অন্ততঃ কিছুটা হলেও ধারনা পাওয়ার জন্য প্রথমে CHROMOSOME গুলির ম্যাপ বা KARIOTYPE টা একটু দেখে নিন। কারণ MEIOSIS বিভাজনে এই CHROMOSOME গুলীরই বিভাজনটাই মুখ্য উদ্দেশ্য্। কাজেই আগে ভাগেই তাদের চেহারাটা একটু দেখে এদেরকে একটু চিনে নিন। আর এদের গঠন সম্পর্কে জেনে নিন ১ম ও ২য় পর্ব পড়ে।

KARYOTYPE

KARYOTYPE কী?

আমাদের জানতে হবে আমাদের সমস্ত SOMATIC কোষের (এবং SEX কোষে বিভাজনের পূর্বে) মধ্যে আমাদের ২৩ জোড়া বা ৪৬ টা ক্রোমোজোম থাকে।SEX কোষ বাদে অন্য সমস্ত কোষকে SOMATIC কোষ বলে। বিভিন্ন ধরণের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা, নিরীক্ষা, বিশ্লেষণের, ও রোগাক্রান্ত CHROMOSOME এর সংগে সুস্থ CHROMOSOME এর তুলনা করিয়া ধারণা লইবার সুবিধার্থে বিজ্ঞানী গন মানুষের ২৩ জোড়া CHROMOSOME কে সারিবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে এক নজরে দেখে নিতে একটা ম্যাপের আকৃতি দিয়েছেন, যাকে KARYOTYPE বলা হয়। (চিত্র-১) কোষের নিউক্লীয়াসের মধ্যে এই ২৩ টা CHROMOSOME এর প্রত্যেকটায় ২টার SET রয়েছে। এর একটি পিতার ও একটি মাতার।এই SET সংখ্যাকে “ N” দ্বারা প্রকাশ করা হয়। সমস্ত SOMATIC কোষে থাকে ২N, অর্থাৎ প্রতিটা CHROMOSOME এ ২ টা করে তাহলে মোট ২৩ টা CHROMOSOME এ থাকে ২৩X২=৪৬ টা, আর একে বিজ্ঞানের পরিভাষায় DIPLOID বলে।DI অর্থ দুই।  আর পুরুষ স্ত্রী প্রজনন কোষে (SPERM ও OVUM) বিভাজনের পূর্বে থাকে ৪৬ টা (DIPLOID), আর MEIOSIS পদ্ধতিতে বিভাজিত হওয়ার পরে  থাকে ১ টার ছেট, একে বলা হয় N বা HAPLOID। তাহলে এখানে মোট ২৩ টা CHROMOSOME এ থাকে ২৩X১=২৩ টা । একে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয় HAPLOID। কারণ এখানে থাকে অর্ধ সংখ্যক বা 46/2=23 টা।

CHROMOSOME এর মধ্যে হাজার হাজার GENE রয়েছে,যারা একদিকে যেমন আমাদের জীবনটাকেও অনবরত পরিচালনা করে আবার এর মধ্যদিয়ে বংশগত ভাল মন্দ গুনাগুন ও রোগ ব্যাধিও আমরা যেমনটা পুর্ব পুরুষ হতে গ্রহন করে থাকি, ঠিক তেমনি ভাবেই আবার এই আমরাই আমাদেরও পরবর্তি বংশধরদের মধ্যেও পাঠিয়ে থাকি।

যেহেতু আমাদের জীবনের প্রারম্ভের সর্ব প্রথম সৃষ্ট কোষ ZYGOTE নামক মাত্র একটি DIPLOID কোষের মধ্য দিয়ে শুরু হয়, মাত্র একটি MALE GAMATE (পুং প্রজনন কোষ) কোষ দ্বারা মাত্র একটি FEMALE GAMATE (স্ত্রী প্রজনন কোষ) FERTILIZED হওয়ার মাধ্যমে, আর সেই প্রজনন কোষ দ্বয় নিজেরাই কী ভাবে DIPLOID কোষ হতে HAPLOID কোষে পরিণত হয় সেইটাই MEIOSIS পদ্ধতিতে দেখানো হয়েছে।
বড়ই জটিল এবং তাৎপর্যপূর্ণ এই MEIOSIS পদ্ধতির কোষ বিভাজন।

আর এটাই তো স্বাভাবিক কোন জটিল কাজ করানোর জন্য যে মেসিনটি তৈরী করতে হবে সে মেসিনটাও তো জটিল হতে হবে, যেমন ধরুন একটা নৌকা চালানোর ইঞ্জীন আর আমেরিকার নাসা হতে মঙ্গল গ্রহের মাটি পানি পরীহ্মার জন্য পাঠানো রকেট এর ইঞ্জীনটা কী কখনো সমান হতে পারে?

1

Figure source- http://ghr.nlm.nih.gov/handbook/basics/howmanychromosomes

চিত্র-১, KARYOTYPE- সমস্ত SOMATIC কোষে (এবং SEX কোষে বিভাজনের পূর্বে) ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম ম্যাপ আকারে।

এই চিত্রে, প্রথম ২২ জোড়া CHROMOSOME কে AUTOSOME বলে। সর্ব নিম্নে ডানে ২৩ তম জোড়া (X,Y) এরা যেহেতু লিংগ (SEX) নির্দ্ধারক ক্রোমোজোম তাই একে SEX CHROMOSOME বলে। আর এই ২৩ জোড়ার একটিকে আর একটির HOMOLOGOUS ক্রোমোজোম বলে। এদের আকার আকৃতি একই রকম ও উভয়ের CENTROMERES একই LEVEL এ থাকে। তাই বলে এরা IDENTICAL বা হুবহু একই রকমের CHROMOSOME নয়, যেমনটা হয় SISTER CHROMATID দ্বয়। এদেরকে নাম্বারিং করা হয়েছে সবচেয়ে বড় আকার হতে ছোট এর দিকে ক্রমান্বয়ে,১নং,২নং,৩নং,৪নং…………………….হতে ২৩নং পর্যন্ত। এক নং ক্রোমোজোম সবচেয়ে বেশী বড় হয়।(১) চিত্র-১।

একটি বিভাজিত উৎপাদন কোষের( SPERM বা OVUM) KARYOTYPE এর চিত্র কল্পনা করতে চাইলে,উপরোক্ত চিত্রের প্রতি জোড়ার স্থলে একটি করে CHROMOSOME ধরে নিন। কারন আগেই বলেছি SEX কোষ MEIOSIS পদ্ধতিতে বিভাজিত হওয়ার পর HAPLOID যা N সংখ্যক বা ২টার স্থলে ১ টা করে মোট ২৩টা CHROMOSOME থাকে।

SEX CHROMOSOME (লিংগ নির্ধারক ক্রোমোজোম)

পিতা মাতা হতে X ও Y CHROMOSOME মিলিত হলে পুরুষ সন্তান   এবং X ও X CHROMOSOME মিলিত হলে নারী সন্তান সৃষ্টি হয়।

অতএব সমস্ত  SOMATIC কোষে ও অবিভাজিত SEX কোষে, এক জন পুরুষের ২৩ তম জোড়ায় থাকে এক জোড়া XY CHROMOSOME এবং এক জন নারীর থাকে এক জোড়া XX CHROMOSOME।

যেমন ধরুন উপরের ১নং চিত্রটিতে যেহেতু ২৩ তম জোড়ায় XY রয়েছে, তাই ঐ KARYOTYPE টি কোন একজন পুরুষের তা সহজেই বলে দিতে পারেন।

আরো বলে দিতে পারেন, এই KARYOTYPE টার সব গুলী SET এ ২টা করে CHROMOSOME রয়েছে, কোথাও ৩টা বা একটা নাই, অতএব এখানে TRISOMY বা MONOSOMY এর মত কোন ত্রুটি বিচ্যুতি ও নাই।

পুরুষের একটি DIPLOID উৎপাদন কোষ MEIOTIC বিভাজনের পর ৪টি HAPLOID কোষ বা SPERM উৎপন্ন হয়।এই ৪টির কোনটার ২৩ তম স্থানে   X CHROMOSOME থাকে আর কোনটার থাকে Y CHROMOSOME।

আর  নারীদের একটি DIPLOID উৎপাদন কোষ MEIOTIC DIVISSION এর পর ৪টা কোষ উৎপন্ন হয়, তবে এখানে এর মাত্র ১টি হয় HAPLOID SEX কোষ OVUM, আর বাকী ৩টি কোষ OVUM না হয়ে হয়  POLAR BODY । POLAR BODY গুলী OVUM এর সংগে থেকে প্রয়োনীয় সময় পর্যন্ত রক্ষনাবেক্ষনের কাজ করে পরে অকেজো হয়ে যায়। এদের একেবারে অনর্থক সৃষ্টি করা হয়না (১,৩,৭)

কোষ চক্র ও MEIOSIS.
MEIOSIS এ মাইটোসিসের মত কোন কোষ চক্র নাই। এটা একটা ONE WAY PROCESS বা এক মুখী পদ্ধতি। চিত্র-২ (২)

2

Figure soursce-  http://creationrevolution.com/cell-division-2-%E2%80%93-simple-cell-part-21/

চিত্র-২,  MEIOSIS ও কোষচক্র।

মাইটোসিস ও মায়োসিস এর মধ্যে বেশ কিছুটা পার্থক্য রয়েছে, যেমন-
১) মাইটোসিস হয় সমস্ত SOMATIC কোষে, মায়োসিস হয় শুধু মাত্র প্রজনন কোষে।

২) মাইটোসিস এর কোষ চক্র আছে কিন্তু মায়োসিসের কোন কোষ চক্র নাই,এক মুখী।

৩) মাইটোসিস ৫টি স্তরের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়ে যায়, ও উৎপন্ন কোষ পুনরায় একই চক্রে প্রবেশ করে (পর্ব-৭)।
আর মায়োসিসিসের স্তর  দু ভাগে বিভক্ত- মায়োসিস -১ ও মায়োসিস-২।
এরপর উভয় মায়োসিস এর থাকে ৫টি স্তর, যেমন ১) প্রোফেজ-১, ২)মেটাফেজ-১, ৩)এনাফেজ-১, ৪)টেলোফেজ-১, ৫)সাইটোকাইনেছিছ-১

৪) মাইটোসিস এ একটি কোষ বিডাজিত হয়ে ২টি কোষে পরিণত হয় এবং বিভাজিত কোষ গুলীতে PARENT কোষ এর সমান সংখ্যক এবং হুবহু একই গুনাগুন সম্পন্ন CHROMOSOME থাকে। অর্থাৎ PARENT কোষ ও ২N বা DIPLOID থাকে এবং শিশু কোষ ২ টি ও ২N বা DIPLOID হয়। অন্যভাবে এখানে প্রত্যেকেরই ৪৬ টাই হুবহু একই রকম ক্রোমোজোম থাকে।

আর মায়োসিসে একটি কোষ বিভাজিত হয়ে পুরুষের ৪টি কোষে পরিণত হয়, আর নারীদের একটি OVUM হয় এবং এখানে PARENT কোষে CHROMOSOME এর সংখা ২N বা DIPLOID থাকে কিন্তু বিভাজিত কোষ গুলীর ক্রোমোজোমের সংখ্যা হয় N বা HAPLOID। অর্থাৎ ৪৬ টা CHROMOSOME এর স্থলে ২৩ টা করে থাকে।এবং নবীন কোষের গুণাগুন PARENT কোষের ক্রোমোজোমের সংগেও একরকম হয়না এবং নব কোষ গুলীর ও একটার সংগে আর একটার মিল হয়না।(২)

একটি সীমিত সংখ্যক স্ত্রী প্রজননকোষ OVARY তে জন্মের পূর্বেই সৃষ্টি হয়ে যায়। এরপর আর নূতন করে কখনো তৈরী হয়না।(৩)
পুরুষ প্রজনন কোষ অন্ডকোষে বয়ঃসন্ধিক্ষন (PUBERTY) কাল হতে আরম্ভ করিয়া মৃত্যু পর্যন্ত অনবরত এবং বিলিয়ন বিলিয়ন উৎপন্ন হতে থাকে।(৪)

3

Figure sorce- https://en.wikipedia.org/wiki/Meiosis

চিত্র-৩ মায়োসিস।

কী ভাবে মায়োসিস ঘটে।

এবার তা হলে দেখা যাক একটি DIPLOID প্রজনন কোষ কী ভাবে MEIOSIS এর স্তর গুলী একটার পর আর একটা পার হয়ে হয়ে একটি HAPLOID কোষে পরিণত হয়ে প্রজননের উপযোগী হয়।

মায়োসিসকে  দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-মায়োসিস-১ ও মায়োসিস-২।

মায়োসিস আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই INTERPHASE স্তরে কিছু কাজ হয়। তাই এটাও আগে বর্ণনা করার দরকার আছে।
INTERPHASE- MITOSIS এর মতই মায়োসিস আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই INTERPHASE এর SYNTHESIS PHASE এ প্রতিটা ক্রোমোজোম (২৩ জোড়া)চিত্র-১, REPLICATE করে MITOSIS (৭ম-পর্ব)এর ন্যায় ডবল হয়ে যায়। অর্থাৎ প্রত্যেকটি ক্রোমোজোমের পিতৃ ও মাতৃ ক্রোমোজোম REPLICATE হয়ে মোট ৪ টি CHROMATID উৎপন্ন হয়। তখন এই CHROMATID জোড়াকে SISTER CHROMATID বলা হয়।

SISTER CHROMATID দ্বয় পরস্পর CENTROMERE এ X আকারে সংযুক্ত থাকে। এই ডবল কৃত পিতৃ ও মাতৃ কোষ দ্বয়ের ক্রোমোজোম এর  একটাকে আর একটার HOMOLOGOUS ক্রোমোজোম বলা হয় (২)চিত্র-২ , ওভিডিও-১,২ ও ৩ নং দেখুন) । SISTER CHROMATIDS দ্বয় CROSS OVER হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত IDENTICAL অর্থাৎ হুবহু একই গুনাগুন সম্পন্ন থাকে।

একটি HOMOLOGOUS এর SISTER CHROMATID কে অন্য HOMOGOUS SISTER CHROMATID এর NON SISTER CHROMATID বলে।এদের গুনাগুন পরশ্পর ভিন্ন থাকে।
মায়োসিস-১ এ কী ঘটে?
মায়োসিস-১ এর কাজ

১)পিতৃ ও মাতৃ ক্রোমোজোমের GENETIC MATERIALS এর মধ্যে GROSS OVER করিয়ে ও RECOMBINATION ঘটিয়ে, GENETIC MATERIALS কে একে বারে সোজা কথায় বারো-ভাজাল করিয়ে মিশ্রিত করে ফেলা। মিশ্রনের পর পিতৃ মাতৃ HOMOLOGUE CHROMOSOME দ্বয়ের ও তাদের ৪টি CHOMATIDS এর কারোই পূর্বের গুনাগুন আর থাকেনা ও প্রত্যেকেই ভিন্ন গুনাগুন ধারন করে।(২)

২)পিতা মাতার DIPLOID CHROMOSOME, HAPLOID CHROMOSOME এ পরিণত হয়ে যায়।
MEIOSIS -১ এ ৫টি স্তর থাকে।
৫টি স্তরের নাম-
১)প্রোফেজ-১, ২)মেটাফেজ-১,৩)এনাফেজ-১, ৪)টেলোফেজ-১,ও ৫)সাইটোকাইনেসিস-১
এর মধ্য দিয়ে কোষটি প্রথমে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে দুইটি নব কোষ উৎপন্ন হয়। এর প্রত্যেকটি কোষে INTERPHASE এ ডবল কৃত HOMOLOGOUS CHROMOSOME এর একটি করে চলে যায়।

এখানে ৪৬ টা CHROMOSOME থাকা সত্বেও এদের HAPLOID বলা হয়।(২) চিত্র-২ (ভিডিও দেখুন),কারন এখানে প্রত্যেকটি CHROMATID ভিন্ন ভিন্ন গুনাগুন অর্জন করে,ও পিতৃ মাতৃ এর পূর্ব বৈশিষ্ট থাকেনা।

মায়োসিস-২ এ কী ঘটে?
মায়োসিস ২ তে, মায়োসিস ১ এর উৎপন্ন কোষ দুইটি ঠিক মাইটোসিসের মতই, প্রোফেজ-২, মেটাফেজ-২, এনাফেজ-২, টেলোফেজ-২ ও সাইটোকাইনেসিস-২ এর মধ্য দিয়ে বিভাজিত হয়ে প্রত্যেকটিতে ১ টি করে HAPLOID ক্রোমাটিড সহ ৪টি HAPLOID কোষ উৎপন্ন হয়ে যায়।(২)চিত্র-২ ও ভিডিও গুলী দেখুন।

কোষের মায়োসিস বিভাগ সম্পূর্ণ হয়ে গেল। তবে কী ভাবে বিভাজিত কোষ HAPLOID হল,কী ভাবে প্রতিটা কোষ এর GENETIC MATERIALS এ বিভিন্নতা এল, কত রকমের বিভিন্নতা আসতে পারে, এর  সবই সমাধা হয়ে যায় প্রথম স্তর প্রোফেজ-১ স্তরেই। এ কারনে প্রোফেজ-১ স্তর MEIOSIS এ অতি দীর্ঘ, গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে জটিল কার্য সমাধা করে থাকে।
এবার তাহলে মায়োসিসের স্তর গুলীকে দেখুন।

১) প্রোফেজ-১
এই স্তরের কাজ হল পিতৃ-মাতৃ CHROMOSOMES (HOMOLOGOUS)এর GENETIC MATERIALS এর মিশ্রন ঘটিয়ে DIPLOID CHROMOSOME কে HAPLOID CHROMOSOME এ পরিণত করা।

এই জটিল ও গুরুত্বপুর্ণ মিশ্রন টা কী  ভাবে ঘটায় তাই  এখানে বর্ণণা করা হয়েছে।যেমন-
GENETIC CROSS OVER & RECOMBINATION দ্বারা । এটা বুঝার জন্য চিত্র ৪ দেখুন।

নীচের চিত্র-৪ ভাল করে বুঝুন তাহলে কী পদ্ধতিতে GENETIC CROSS OVER ও RECOMBINATION  হয় তা বুঝতে সহজ হবে।

4

Figure source- http://ib.berkeley.edu/courses/ib162/Linkage.htm

চিত্র-৪ GENETIC CROSS OVER

চিত্রটি সহজে বুঝার জন্য একটু ব্যাখ্যা করতেছি।
লক্ষ করুন,

১) চিত্রটিতে CHROMOSOME এর ২টি সারি, A বামে ও B ডানে আছে।এখানে ধরা যাক নীল রংএর CHROMOSOME টি পিতার ও লাল রংএর টি মাতার। A সারি তে আছে “NO CROSSING OVER” অর্থাৎ এক CHROMOSOME আর একটার উপর দিয়ে মিলিত হয় নাই ও একে অপরের সংগে কোন GENETIC লেনদেন ও করে নাই। ফলে এখানে সর্ব নিম্নে উৎপন্ন ৪টা CHROMATID এর রং এর ও কোন পরিবর্তন হয় নাই তার অর্থ এদের GENETIC গুনাগুন এর ও কোন পরিবর্তন হয় নাই। পূর্বের মতই বহাল রয়ে গিয়েছে।

MITOTIC বিভাজনে এ ভাবেই CHROMOSOME অপরিবর্তিত থেকে যায়।

২) এবার লক্ষ করুন, ডান সারি B তে “CROSSING OVER”(একটার উপর দিয়ে আর একটা যাওয়া) করে, একটা NON SISTER CHROMATID এর জ্বীন আর একটা NON SISTER CHROMATID এর জ্বীন এর সংগে লেন দেন করে উভয়ের পূর্বের GENETIC গুনাবলীকে পরিবর্তন করে ফেলেছে।

এর উপরের চিত্রে দেখুন পিতৃ মাতৃর CHROMOSOME দুইটি CROSS OVER করে মিলিত হচ্ছে। এই মিলিত হওয়ার জায়গার নাম GHIASMA। মাঝের চিত্রে দেখুন, মাতৃ CHROMOSOME (লাল রং)এর একটি CHROMATID এর কিয়দংস পিতৃ CHROMOSOME (নীল রং)এর একটি CHROMATID এর একটি অংস হতে জ্বীন গ্রহন করে সেই অংস টুকু নীল বর্ণ ধারন করেছে।

আর ঠিক একই ভাবে পিতৃ CHROMOSOME এর একটি CHROMATID মাতৃ CHROMOSOME হতে সেই স্থানে মাতৃ জ্বীন গ্রহন করে লাল বর্ণ ধারন করেছে।

এখানে বর্ণের আদান প্রদান কে জ্বীন এর আদান প্রদান হিসাবে দেখানো হয়েছে।

বুঝতেই পারছেন এভাবেই পিতৃ মাতৃ CHROMOSOME একে অপরকে CROSS OVER করে জ্বীন এর আদান প্রদান করে GENETIC MATERIALS পরিবর্তন করে নূতন ভাবে নিজেকে গড়ে নিল।এই নূতন রুপে গড়াকে RECOMBINATION বলে।

এতবড় জটিল কাজ করতে এরা যেন অতি দক্ষ। এত দক্ষতার ভিতরও মাঝে মধ্যে কিছু কিছু ত্রুটি বিচ্যুতিও ঘটে যায়। যার ফলাফল এর দ্বারা উৎপন্ন ব্যক্তিকে বহন করতে হয়।

এদের আর একটি CHROMATID এর যেহেতু CROSS OVER ও হয় নাই, তাই সেখানে জ্বীন এর ও কোন আদান প্রদান হয় নাই অতএব RECOMBINATION ও হয়নাই।

এর সর্ব নিম্নে আরো পরিস্কার করে বুঝানোর জন্য ঐ CHROMATID গুলীকেই পৃথক করে দেখানো হয়েছে।

পিতৃ মাতৃ উভয় SEX কোষ MEIOTIC বিভাজনের মাধ্যমে উৎপন্ন হওয়ার সময়ে এভাবে তার মধ্যে অবস্থিত পিতৃ-মাতৃ DNA এর জেনটিক গুনাবলী কে আদান প্রদানের মাধ্যমে বার ভাজাল করে সম্পূর্ন ভিন্ন গূনাবলী সম্পন্ন SEX কোষ উৎপাদন করে ফেলে।

আর এই আদান প্রদান করার কোন ধরা বাধা কোন নিয়ম কানুন নাই, আর এটা আমাদের এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনের বাইরে।

এর পর ঐ ভাবে উৎপন্ন পিতৃ মাতৃ SEX কোষ মিলিত (FERTILIZE) হয়ে এই আমরা জন্মাই।

পিতৃ- মাতৃ SEX কোষের MEIOSIS বিভাজনের মূল তাৎপর্য ও রহস্য টা এখানেই।

আমাদের ভাগ্যটার মূল চাবিকাঠি এখানেই এবং এখানেই আমাদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়।

কারন এই RANDOMLY পরিবর্তিত পিতৃ-মাতৃ SEX কোষ গুলীই পরবর্তিতে SEX এর মাধ্যমে FERTILIZED হয়ে আমাদেরকেই উৎপাদন করতেছে।

আর জেনে রাখুন এই ঘটনাটি ঘটে যায় MEIOSIS বিভাজনের একেবারে প্রথম স্তর PROPHASE-১ এ।

এর পরবর্তী স্তর গুলীতে আর কোন GENETIC লেনদেন হয়না।

এখানে একটা মজার ব্যাপার ঘটে, তাহল কোন্ NON SISTER CHROMATID টি কোন্ NON SISTER CHROMATID টির সংগে GENETIC লেন দেন করবে এবং কোন জ্বীন এর লেন দেন করবে এব্যাপারে কোনো ধরা বাধা নিয়ম কানুন অনুসরণ করেনা। এ ব্যাপারে এরা স্বাধীন। একে বলা হয় INDEPENDENT ASSORTMENT.

তার মানে কী জানেন?

তার মানে হল যে ধরণের উৎপন্নজাত দ্রব্য তৈরী করতে চায় এখানে এই স্বাধীন ভাবে GENETIC মিশ্রনের মাধ্যমে এরা ঠিক সেই ধরনেরই উপযোগী SPERM ও OVUM এর কাচা মাল তৈরী করে অন্ডকোষ ও ডিম্বালয়ে গুদামজাত করে রাখে,যা পরবর্তীতে SEX এর মাধ্যমে উৎপন্নকরে সেই অনুরুপ উৎপন্ন দ্রব্য,মানব আকারে বিশ্ববাজারে প্রকাশ করে।

এটা আমাদের নিকট RANDOMLY বা HAPHAZARDLY মিশ্রন বলে মনে হলেও এদের নিকট হয়তো তা নয়, এদের নিকট হয়তোবা সুনির্দিষ্ট ও পূর্বপরিকল্পিত মাফিক ঘটনা।

এভাবেই এরা যখন চাইবে ভারতের তামিল সম্প্রদায়ের একটা নিম্ন বিত্ত পরিবার হতে এ.পি.জে.

 আবুল কালাম এর মত একজন ভারত-রত্নকে প্রকাশ করে।(১১)

এজন্যই বলতেছি আমাদের কাছে এদের কাজবাজ RANDOMLY বা HAPHAZARDLY মনে হলেও হয়তো এদের কাছে সেটা তা নয়।এদের কাছে হয়তোবা এগুলী পরিকল্পনা অনুযায়ী।

এ ভাবে ২৩ জোড়া CHROMOSOME এ INDEPENDENT ASSORTMENT ঘটার ফলে ৭০ ট্রিলিয়ন এর মত ভিন্ন ধরনের গুনাবলীর SPERM বা OVUM তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। (VIDEO-1)

5

Figure source- http://www.phschool.com/science/biology_place/biocoach/meiosis/proi.html

চিত্র-৫ প্রোফেজ-১

উপরের চিত্র-৫ প্রোফেজ-১ লক্ষ্য করুন, এই স্তরে MITOTIC স্তরের মতই সব কাজ চলে (৭ম পর্ব) শুধু বিশেষ অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ টুকু এখানে বর্ণনা করতেছি।

এখানে HOMOLOGOUS CHROMOSOME প্রথমে কপি হয়ে ডবল হয়। এরপর সেই গুরুত্বপর্ণ কাজটি অর্থাত CROSS OVER করে GENETIC গুনাবলীর লেনদেন করে নেয়।

এর ফলাফল কী দাড়ায়?

যেহেতু এভাবে ২৩ জোড়া CHROMOSOME এর হাজার হাজার জ্বীন এর RANDOMLY লেন দেন এর ফলে GENETIC গুনাগুন এর VARIETY ৭০ ট্রিলিয়নের মত থাকে, এজন্য এ ভাবে উৎপন্ন CHROMATID হতে সৃষ্ট মানবটির উপর ৭০ ট্রিলিয়ন এর মত OPTION এর মধ্য হতে RANDMLY যে কোন একটি গুনাগুন বর্তিয়ে যায়।  উদাহরন স্বরুপ, পিতা-মাতার ঐ একই SPERM ও OVUM মিলিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আপনার জায়গায় আপনি না এসে আরো ৭০ট্রিলিয়ন প্রকারের ভিন্ন ধরনের যে কোন গুনাগুন বিশিষ্ট অন্য কেহ আসবারও সম্ভাবনা রয়ে গিয়ে ছিল, যেগুলী সব এড়িয়ে আপনার মত একজন অদ্বিতীয় ব্যক্তি জন্ম লওয়ার জন্য RANDOMLY বাছাই হয়ে এসেছেন।(VIDEO-2)

তার মানে এটা দাড়ালো, এই ভূমন্ডলে যত প্রকারের মানুষ ই আসতেছে, তার গুনাগুন, ভাগ্য এখান থেকেই পূর্ব- নির্বাচনের মধ্য দিয়েই আসতেছে, এবং প্রত্যেকেই অদ্বিতীয় ও ভিন্ন গুনাগুন সম্বলিত

এখানে এখনো পর্যন্ত আমাদের কারোরই নিয়ন্ত্রন বা হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা আসে নাই।

অতএব ইচ্ছামত কোন অতি মেধাবী সন্তান ও যেমন জন্ম দেওয়া সম্ভব নয় ঠিক তেমনি ভাবে ইচ্ছামত একটা নিরেট মেধাশুন্য বা জটিল রোগাক্রান্ত সন্তান জন্মানো প্রতিরোধ করাও সম্ভব নয়।

এই কারণে এই বিশ্বে একজন মানুষ আর একজনের মত হওয়া কখনই সম্ভব নয় একমাত্র HOMOZYGOTE TWIN ছাড়া।

HOMOZYGOTE এর জমজ কেন হুবহু একই রকম হয়?

কারণ, ZYGOTE টির প্রথম কয়েকদিনের বিভাজনের সময় যদি এর কোন একটি বা একাধিক কোষ মূল XYGOTE এর বিভাজিত কোষপুঞ্জি হতে পৃথক হয়ে নিজের মত করে জন্মানো আরম্ভ করে তখন যেহেতু এদের CHROMOSOME একই XYGOTE থেকে কপি হয়ে এসেছে বলে এদের DNA ও হুবহু একই রকম হয়। একারণে এই যমজরাও হুবহু একই রকম হয়। এদেরকে HOMOZYGOTE বা MONOZYGOTE TWIN বা IDENTICAL TWIN বলে। (৮) ( কী ভাবে MONOZYGOTIC TWIN ও DZYGOTIC TWIN হয় দেখতে ১৫তম পর্ব পড়ুন)

বিজ্ঞানীগন এই ফরমুলা প্রয়োগ করে কৃত্রিম উপায়ে CLONING পদ্ধতির ব্যবহার করে পশু উৎপাদন করতেছেন।বিভিন্ন  দেশে এভাবে নিয়মিত ভাবে পসু উৎপাদন করা হচ্ছে।

আমেরিকার FDA, CLONE এর মাধ্যমে উৎপাদিত পশুর মাংস ল্যাবেলিং ছাড়াই বাজার জাত করার অনুমোদন দিয়েছে ২৮ ডিসেম্বর,২০০৬, (৯)
CLONING কী? ১৫ তম পর্ব দেখুন।

এর পরের ঘটনা গুলী ঠিক MITOSIS এর মতই ঘটতে ঘটতে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

MITOSIS জানতে পর্ব- ৭ দেখুন।

MEIOSIS বিভাজনের মূল উদ্যেশ্য অর্থাত কী গুনাবলী সম্পন্ন মানুষ টি জন্ম নিবে তা এই PROPHASE ১ এই অঙ্কুরিত হয়ে যায়। তবে চূড়ান্তে পৌছাতে আরো বহু স্তর নির্বিঘ্নে পার হওয়া লাগে।

এর পরবর্তী স্তর গুলীর কাজের উদ্যেশ্য থাকে শুধুমাত্র এই CHROMADTID টাকে এক একটি SPERM ও OVUM কোষে উৎপন্ন করে কাচা মাল আকারে অন্ডকোষ ও ডিম্বালয়ের কোষাগারে গুদাম জাত করে রাখা এবং পরবর্তীতে SEX এর মাধ্যমে স্বাভাবিক উপায়ে FERTILIZE করা, আর ঠিক এই কাচা মালটিরই QUALITY অনুসারে জরায়ূতে প্রথমে এক কোষী ZYGOTE ও  তাকে বৃদ্ধি করে করে FINAL PRODUCT এই বিশ্ববাজারে আমাদের মত মানুষ রুপে প্রকাশ করা।

তবে, SEX মাধ্যম ছাড়াও এই উৎপন্ন কাচা মাল (SPERM ও OVUM) কে সংগ্রহ ও ব্যবহার করে, জরায়ুর বাইরে FERTILIZE করে মানব জন্মানোর পদ্ধতিটা বিজ্ঞান আজ করায়ত্ব করতে পেরেছে। এবং এটা এখন যথেষ্ঠ হচ্ছেও। এই পদ্ধতিকে বলে IVF (IN-VITRO FERTILIZATION)বা শরীর এর বাইরে FERTILIZATION ঘটিয়ে শিশু উৎপাদন করা। (এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পর্ব-১৯ দেখুন)

একেই সাধারণ ভাষায় TEST TUBE BABY বলা হয়।

প্রশ্ন- আচ্ছা তাহলে কী আমরা এই SPERM বা OVUM এর উৎপাদন এর উপর কোন ভাবে প্রভাব বা নিয়ন্ত্রন আনতে পারি, যাতে করে এর দ্বারা উৎপন্ন মানব প্রানীকে আমরা ইচ্ছা মত GENETIC ভাল গুনাগুন দিয়ে উৎপন্ন করতে পারি ও খারাপ গুনাগুন হতে এড়াতে পারি?

উত্তর- হতে পারে, তবে জীব বিজ্ঞানে আরো বহু গবেষনার প্রয়োজন সেখানে পৌছাতে। এটা এখনো বহু দূরের বস্তু।

কত দূরে?

তা ধরুন মানব জাতিকে Exoplanet Kepler-452b (১০) তে পৌছাতে যত দূর তার চাইতেও বহুগুন বেশী দূরে।

তবে আমার মতে এই ক্ষমতা মানুষের হাতে আসা অনুচিৎ হবে।

কারণ?

কারণ, মানুষ তাহলে পরশ্পর সংঘর্ষের উদ্যেশ্যে পাল্লা দিয়ে এমন একজন হিটলারকে তৈরী করে ফেলবে যে সারা বিশ্বকে ধংস করে দিবে।

MEIOSIS এর বাকী পদ্ধতিগুলী ঠিক পূর্ববর্তি অধ্যায়ে বর্ণিত MITOSIS পদ্ধতির মত। MITOSIS বুঝতে পারলে MEIOSIS বুঝা সহজ হবে।

তা হলে এবার বাকী স্তর গুলী দেখুন-

২) মেটাফেজ-১

6

Figure source-  http://www.uic.edu/classes/bios/bios100/lecturesf04am/lect16.htm

চিত্র-৬,মেটাফেজ-১

এই স্তরে MICROTUBULE গুলী CENTROMERE এর KINETOCHORE এ সংযুক্ত হয়ে HOMOLOGOUS PAIR গুলীকে METAPHASE PLATE বা EQUATORIAL LINE এর দুই পার্শে সারি বদ্ধ ভাবে দাড় করায়। কোন্ HOMOLOGUE CHROMOSOME টি লাইনের কোন্ পার্শে যাইবে এটা  কোন ধরাবাধা নিয়ম মানেনা। একে INDEPENDENT ASSOTMENT বলে।( পূর্বেই বলা হয়েছে)

এখানে HOMOLOGOUS CHROMOSSOME দু পার্শে দুইটা চলে গিয়ে এরাই পরে দুইটা কোষ উৎপন্ন করছে। তাই এই স্তরেও একটি বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়ে যায়, যেমন ধরা যাক এর মধ্যের এক পার্শের একটির CHROMATID এ একটি CANCER GENE বহন করতেছে। তাহলে শুধু মাত্র সেই পার্শের সেই CHROMATID হতে উৎপন্ন GERM CELL হতে উৎপন্ন ব্যক্তিই ক্যান্সারে আক্রান্ত হইবে। আর অন্য CHROMATID হতে উৎপন্ন ব্যক্তি এই বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে।ভিডিও-১ দেখুন

এই স্তরে নিউক্লীয়াছ বেড়ী আর থাকেনা। (২) চিত্র-৬
৩) এনাফেজ-১

7

Figure source- http://www.phschool.com/science/biology_place/biocoach/meiosis/anai.html

চিত্র-৭, এনাফেজ-১

এই স্তরে মাইক্রোটিউবুল গুলী SHORT হয়ে হয়ে HOMOLOGOUS PAIR গুলীকে বিপরীত মুখে উভয় CENTROSOME এর দিকে লয়ে যাইতে থাকে। আর NON KINETOCHORE MICROTUBULE গুলী পরস্পর মিলিত হয়ে ও লম্বা হয়ে হয়ে কোষকে লম্বা করতে থাকে।মনে রাখতে হবে এই HOMOLOGOUS PAIR এ দুইটি করে মোট ৪টি ভিন্ন ভিন্ন গুনের CHROMATID রয়েছে। (২) চিত্র-৭
৪)টেলোফেজ-১

8

Figure source- http://www.phschool.com/science/biology_place/biocoach/meiosis/teloi.html

চিত্র-৮,টেলোফেজ-১

এই স্তরে CHROMOSOME PAIR গুলী কোষের দুই প্রান্তে পৌছে যায়।  নিউক্লীয়াছ বেড়ীর পুনঃ আবির্ভাব হয় ও CENTROSOME কে বাইরে রেখে নুতন HOMOLOGOUS PAIR কে ভিতরে লয়ে কোষের দুই প্রান্তে পৃথক হয়ে চলে যায়। CHROMOSOME এ CHROMATIN দেখা দিতে থাকে। কোষের CYTOPLASM এর মাঝখানে খাঁজ পড়ে যায়। এর প্রত্যেকটি HOMOLOGOUS PAIR এ একজোড়া করে CHROMATID থাকে। (২) চিত্র-৮
৫) এর পরেই CYTOKINESIS-1 ঘটে দুইটি কোষে পরিণত হয়ে যায়। (২)চিত্র-৯

9

Figure source- http://ontrack-media.net/gateway/biology/g_bm2l6s2.html

চিত্র-৯ CYTOKINESIS-১

মায়োসিস -১ শেষ হয়ে গেল। লক্ষ্য করুন MEIOSIS ১ সমাপ্তি করে ১ টি কোষ ২ টি কোষে পরিণত হল এবং পত্যেকটি কোষে দুইটি পৃথক গুনাবলীর এক একটি HOMOLOGOUS CHROMOSOME PAIR পাইল।
এরপর কোষ INTERPHASE-২ তে চলে গিয়ে একটু বিশ্রাম লয়। তবে INTERPHASE ২ এ DNA REPLICATE করেনা। এর পর কোষ MEIOSIS-২ তে চলে যাইবে।

মায়োছিছ-২ তে, এবার এই দুইটি কোষই ঠিক MITOSIS এর ন্যায় বিভাজিত হয়ে এক একটি ভিন্ন গুনাবলীর CHROMATID লয়ে ৪ টি কোষে পরিণত হইবে।
এবার তাহলে দেখুন MEIOSIS-২ এর ঘটনা- এর স্তর গুলীর নাম ১)প্রোফেজ-২ ২)মেটাফেজ-২ ৩)এনাফেজ-২ ৪)টেলোফেজ-২ ৫)ছাইটোকাইনেছিছ-২ (২)

১) প্রোফেজ-২

10

Figure source- http://www.angelfire.com/md/kablink/prometaphase2.html

চিত্র-১০, প্রোফেজ-২

এখানে MITOTIC বিভাজনের PROPHASE স্তরের মতই উভয় কোষে ঘটতে থাকে। শুধু মাত্র পার্থক্য এই যে এখানকার HOMOLOGOUS গুলী আগে থেকেই HAPLOID ও CHROMATID গুলী ভিন্ন ভিন্ন গুনাবলী সম্পন্ন MEIOSIS -১ থেকেই হয়ে এসেছে। CHROMOSOME গুলী অত্যন্ত গাঢ় হতে থাকে। SISTER CHROMATID দ্বয় CENTROMERE এ KINETOCHORE এর মাধ্যমে আটকানো থাকে (২) (চিত্র-১০ ) নিউক্লিয়াসের পার্শেই CENTROSOME থাকে। এই স্তরে নিউক্লীয়াছের বেড়ীর অখন্ডতা ভেঙ্গে গিয়ে খন্ড খন্ড হয়ে ফাক ফাক হয়ে যায়। মাইক্রোটিউবুল গুলী এই ফাক এর মধ্য দিয়ে নিউক্লীয়াছের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এই ভাবে প্রতিটা CHROMATID, দুই দিকের CENTROSOME হতে আগত MICROTUBULE দ্বারা আটকানো হয়ে যায়।

উভয়দিক হতে আগত যেসব MICROTUBULE গুলী কোন KINETOCHORE পায়না, তারা পরস্পর মিলিত হয়ে MITOTIC SPINDLE তৈরী করে।চিত্র-১০ (২)

২)মেটাফেজ-২

11

Figure source- http://web2.mendelu.cz/af_291_projekty2/vseo/print.php?page=285&typ=html

চিত্র-১১ মেটাফেজ-২

এখানে CENTROMERE এ দুইটা KINETOCHORE লাগানো থাকে,যাতে দুই মেরুর CENTROSOME হতে MICROTUBULE এসে সংযুক্ত হয়। এই স্তরের METAPHASE PLATE বা EQUATORIAL LINE, MEIOSIS ১ এর METAPHASE PLATE বা EQUATORIAL LINE, হতে ৯০ ডিগ্রী ঘুরে দাড়ায়, যাতে HOMOLOGOUS CHROMATID গুলী পৃথক হয়ে স্বাধীন ভাবে ও সহজে যার যার হবু নব কোষের দিকে যেতে পারে। ।চিত্র-১১ (২)

এখানে ও এবার CHROMATID গুলী কোন কোষের দিকে যাইবে তা স্বাধীন ভাবে নির্ধারণ করে। এখানেও ভাগ্যের আর একটি নির্বাচন হয়ে যায়। যেমন ধরা যাক METAPHASE-১ এর CANCER GENE টি যে কোষের HOMOLOGUE এর যে CHROMATID টি বহন করতে ছিল, একমাত্র সেই CHROMATID হতে উৎপন্ন GERM CELL দ্বারা উৎপন্ন ব্যক্তিই ক্যান্সারে আক্রান্ত হইবে। সমস্ত গুনাগুন,রোগ ব্যাধি,ত্রুটি-বিচ্যুতি বিভিন্ন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে GERM CELL এ পৌছাতে হয়,তারপরে FERTILIZATION এ ও যেতে হবে।
৩)এনাফেজ-২

12

Figure source- http://learnaboutmeiosis.doomby.com/pages/anaphase-2.html

চিত্র-১২, এনাফেজ-২

এই স্তরে এসে MICROTUBULE গুলী  CHROMATID গুলীকে CENTROMERE হতে ছাড়িয়ে লয়ে দুই মেরুর দিকে লয়ে যেতে থাকে। এই পর্যায়ে SISTER CHROMATID গুলীকে SISTER CHROMOSOME বলা হয় কারণ এরাই হল হবু নব ক্রোমোজোম, যারা এখন পরস্পর বিপরীত মেরুর দিকে চলতে থাকে।চিত্র-১২ (২)
এরপর টেলোফেজ-২ এসে যায়।
৪)টেলোফেজ-২

13

Figure source- http://biology4isc.weebly.com/meiosis.html

চিত্র-১৩, টেলোফেজ-২
এখানে TELOPHASE-১ এর মতই CHROMOSOME কয়েল মুক্ত ও লম্বা হয়।SPINDLE অদৃশ্য হয়ে যায়।NUCLEOLUS আবির্ভাব হয়ে যায়। NUCLEUS বেড়ী তৈরী হয়ে যায়।NUCLEOLUS যা প্রথম স্তরে অদৃশ্য হয় গিয়েছিল,পুনরায় দেখা যায়।  প্রত্যেকটা NUCLEUS এ একটা করে HAPLOID CHROMOSOME থেকে যায়। কোষ প্রাচীরের মাঝখান দিয়ে খাঁজ পড়ে যায়।চিত্র-১৩ (২)

প্রকৃত অর্থে এই পর্যন্ত এসে MEIOSIS-২ শেষ হয়ে গেল।
এরপর CYTOKINESIS এর মাধ্যমে কোষ বিভক্ত হয়ে যায়।

৫)সাইটোকাইনেছিছ-২

14

Figure source- http://www.uic.edu/classes/bios/bios100/lecturesf04am/lect16.htm

চিত্র-১৪ সাইটোকাইনেছিছ-২

এর পরে CYTOKINESIS এর মাধ্যমে পূর্ণ CYTOPLASM বিভাজিত হয়ে পূর্ণ ৪টি ভিন্ন ভিন্ন গুনাবলী সম্পন্ন HAPLOID SEX  কোষে পরিণত হয়ে গেল। নারীদের মাত্র ১টি OVUM হয় ও বাকী ৩টি POLAR BODY হয়, যা পরে অকেজো হয়ে যায়।(আগেই বলা হয়েছে)
মায়োসিস সম্পূর্ণ হয়ে গেল।চিত্র-১৪ (২)

MEIOSIS ঘটার সময় অজস্র প্রকারের ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটতে পারে। এখানে কিছু বর্নণা করা হল।

MEIOSIS এর কিছু বিচ্যুতি (NON DISJUNCTION)

MEIOSIS-১ এ অথবা MEIOSIS-২ এ কোন CHROMOSOME অথবা কোন CHROMATID যদি সঠিক ভাবে একটা হতে অন্যটা বিচ্ছিন্ন না হতে পারে, তাকে NON DISJUCTION বলে। এর ফলে কোন একটি কোষে ৩ টি CHROMOSOME চলে যেতে পারে, তখন তাকে TRISOMY বলে। আর যে কোষে একটা যায় তাকে MONOSOMY বলে।

এর জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক জটিল শারীরিক ব্যাধি রুপে দেখা দেয় যেমন-
১) DOWN’S SYNDROME- এটা ঘটে যদি ২১ নং CHROMOSOME এ TRISOMY ঘটে যায়।

এখানে লক্ষন দেখা যায় যেমন-যে কোন স্নায়ূতান্ত্রিক অস্বাভাবিকতা,জন্ম গত হৃদপিন্ডের রোগ, থাইরয়েড এর অস্বাভাবিকতা,ক্যানসার,সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা, দৃষ্টি শক্তি ও শ্রবন শক্তি ব্যহত হওয়া ও আরো অনেক কিছু

২) PATAU SYNDROME –এটা ঘটে যদি ১৩ নং CHROMOSOME এ TRISOMY ঘটে যায়।

এদের অনেক অস্বাভাবিক লক্ষন থাকে যেমন,মানসিক অপরিপক্কতা,MOTOR NEURONE DISEASE,ক্ষুদ্র আকৃতির মস্তিস্ক,হাতের অঙ্গুলী একত্রে মিশে থাকা, ফাটা ঠোট হওয়া, হৃদপিন্ডে VENTRCULAR SEPTAL DEFFECT সহ আরো বহূ রকমের অস্বাভাবিকতা।

৩)EDWARD’S SYNDROME- ১৮ নং CHROMOSOME এ TRISOMY ঘটলে এটা ঘটে যায়।

এর লক্ষন গুলী হয় যেমন-জন্মগত হৃদপিন্ডের অশুখ, যেমন, ATRIAL SEPTAL DEFFECT, VENTRICULAR SEPTAL DEFFECT, PATENT DUCTUS ARTERIOSUS, মানসিক অপরিপক্কতা, ধীরে শরীর বৃদ্ধি, ARTHROGRYPOSIS ( জন্মগত সমস্ত জয়েন্ট গুলি শক্ত ভাবে আটকানো থাকে) ও আরো অনেক কিছু।

৪)KLINEFELTER’S SYNDROME-এটা ঘটে যদি ২৩ নং কোন পুরুষের SEX CHROMOSOME এর X CHROMOSOME এর TRISOMY ঘটে, অর্থাৎ যেমন XXY হওয়া।

এটা হলে কিছু শিখতে পারার ক্ষমতা, ভাষা শিক্ষার ক্ষমতা, কোন বিবিধ বিষয় বস্তু সমন্বয় করে করার ক্ষমতা কম হয়।

৫)TURNER’S SYNDROME-এটা নারীদের ক্ষেত্রে ঘটে যদি একটি মাত্র X CHROMOSOME পায় অর্থাৎ-X0 হয়। এখানে লক্ষন দেখা যায়,সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতা, ভিন্ন ধরনের চেহারা, হৃদপিন্ডে, BICUSPID AORTIC VALVE, COACTATION OF AORTA সহ আরো বহু অস্বাভাবিকতা।

৬) TRIPLE X SYNDROM- এটা নারীদের ক্ষেত্রে X CHROMOME এর TRISOMY। অর্থাৎ এক্ষেত্রে একটা নারী পায়-XXX.
এদের শরীর দীর্ঘ ও মস্তিস্কের আকৃতি ক্ষুদ্র হয়। আবার কারো কারো উপর এর ফলাফল নাও আসতে পারে।

৭)XYY SYNDROME-এটা পুরুষের ২৩ নং CHROMOSOME এর Y CHROMOSOME এর TRISOMY.
এই বিচ্যুতিতে কোন লক্ষনের বহিপ্রকাশ ঘটেনা। লন্ডনে দেখা গেছে অন্য কোন প্রয়োজনে KQARYOTYPE করবার সময় এই GENETIC ত্রুটি টি ধরা পড়েছে।এর জন্য রোগীরা কোন অভিযোগ করেনাই।(২)
এছাড়া ও আরো অসংখ্য রকমের GENETIC ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটতে পারে।
সেগুলী পরে জানতে পারবেন।

Edited on- 7/28/2015

অন্যান্য পর্ব সমূহ এখানে দেখুন- https://chkdr02.wordpress.com/

নীচে MEIOSIS এর উপরে
ভিডিও গুলী দেখুন-
1) https://www.youtube.com/watch?v=rB_8dTuh73c

2)  https://www.youtube.com/watch?v=Jc7o1n0IL5o

3)  https://www.youtube.com/watch?v=k2DBsovDXxE

অষ্টম পর্বের সূত্র সমূহ-

১)http://creationrevolution.com/cell-division-2-%E2%80%93-simple-cell-part-21/

২) https://en.wikipedia.org/wiki/Meiosis
৩) https://en.wikipedia.org/wiki/Oogenesis
৪) https://en.wikipedia.org/wiki/Spermatogenesis
৫) http://ghr.nlm.nih.gov/handbook/basics/chromosome
৬) http://ghr.nlm.nih.gov/handbook/hgp/description
৭) http://www.ehow.com/info_8146227_differences-male-female-chromosomes.html
৮) http://en.wikipedia.org/wiki/Twin
৯) http://en.wikipedia.org/wiki/Cloning

১০) Kepler-452-b

http://www.bbc.com/news/science-environment-33641648

১১)ABUL KALAM

http://www.bbc.com/news/world-asia-india-33685083